নিজস্ব প্রতিবেদক: ফের প্রাবাসী আয়ে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এবার মাত্র ১২ দিনেই এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশের ইতিহাসে একক মাসের ১২ দিনে এর আগে কখনো প্রবাসী আয়ের এত টাকা আসেনি। এটিকে দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়। এর ফলে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে জানা গেছে, গেল ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত অর্থ দেশে আসেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্যঃসমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯-এর প্রভাবে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে সারা বিশ্ব। এই সময়টাতে আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা কষ্ট করে অর্থ পাঠিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে চালকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশ থেকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় পাঠালে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এর পরপরই রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়তে শুরু করলে অনেকেই বলতে শুরু করলেন এগুলো ঠিক নয়, থাকবে না, টেকসই নয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস যখন অসাধারণ এবং অবিশ্বাস্য গতিতে রেমিট্যান্স অর্জিত হচ্ছিল তখন কর্মীরা তাদের কাজকর্ম বা ব্যবসা গুটিয়ে দেশে ফিরে আসছেনসহ বিভিন্ন মন্তব্য করতে শুরু করলেন।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস যখন অসাধারণ এবং অবিশ্বাস্য গতিতে রেমিট্যান্স অর্জিত হচ্ছিল তখন কর্মীরা তাদের কাজকর্ম বা ব্যবসা গুটিয়ে দেশে ফিরে আসছেন, এমন বিভিন্ন মন্তব্য করতে শুরু করলেন। সেই সব লোকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও তাল মিলিয়ে বলতে শুরু করল এ প্রবাহ ঠিক নয়, টেকসই হবে না। কিন্তু প্রণোদনা ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির যে প্রবাহ, তাতে তাদের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং আমরা যে সঠিক ছিলাম আরও একবার তা প্রমাণিত হলো বলে উল্লেখ করেন তিনি।